# দুর্গা পূজায় বা কালী পূজায় পশুবলি কতটা যুক্তি সংগত ? #






# দুর্গা পূজায় বা কালী পূজায় পশুবলি কতটা যুক্তি সংগত ? #
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
হাঁড়িকাঠে আটকে কোপ মেরে বলি দেওয়া, কি গলার নলিটা কেটে ফিনকি রক্ত ছড়িয়ে ছটফটিয়ে মারা - প্রকাশ্যে খুবই দৃষ্টিকটু। বীভৎস দৃশ্য। ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ছে সেই পশু নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঊর্দ্ধশ্বাসে দৌড়চ্ছে পালাতে চাইছে। বলিও ভয়ঙ্কর। এক কোপে মাথা নেমে গেল শরীরটা তখনো কাঁপছে।
যার যেমন খাদ্যাভ্যাস তেমনিই থাকুক, বাধাদেবার দরকার নেই, কিন্তু যার সেটা দেখতে কষ্ট হয় তাকে তখন আড়াল খুঁজতে হয়।

বহু শাস্ত্রে উল্লেখ আছে দুর্গা কালী আদি সকল
দেবদেবীই বৈষ্ণব। ব্রহ্মা বলেছেন- সৃষ্টি-
স্থিতি-প্রলয় সাধন শক্তিরেকা ছায়েব যস্য ভুবনানি
বিভর্তি দুর্গা । ইচ্ছানুরূপমপি যস্য চ চেষ্টতে সা
গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি॥ অর্থাৎ "প্রাপঞ্চিক
জগতের সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়়-সাধন কারিণী মায়া
শক্তিই ভূবনপূজিতা দূর্গা , তিনি যাঁর ইচ্ছানুরূপ চেষ্টা
করেন , সেই আদি পুরুষ গোবিন্দকে ভজনা করি "।
(ব্রহ্মসংহিতা ৫/৪৪)
আবার শিব শ্রীনারদ পঞ্চরাত্র গ্রন্থে প্রতিদিন
কিভাবে শ্রীগোবিন্দের অর্চনা করতে হয় তা
দুর্গাদেবীকে নির্দেশ দিয়েছেন । শিব আমিষ
ভক্ষণ করেন না। পতিপরায়ণা সতী দুর্গা শিবের
উচ্ছিষ্ট প্রসাদ গ্রহণ করেন । মা কালী দূর্গারই
প্রকাশ মাত্র। তারা মাংসভুক বা রক্ত পিশাচী নন ।  কলিযুগের ধর্মভ্রষ্ট, উগ্র ও পিশাচগুন
সম্পন্ন মানুষেরা তাদের নিজেদের তামসিকতার
অনুকূলে রক্তাত্ত, উগ্র ও উলঙ্গ কালী-মূর্তির
আরাধনা করে এবং মাংসলোলুপতা চরিতার্থ করতে
পশুবলি দেয় । তারা কালী দুর্গাকে বৈষ্ণবীরূপে
দেখে না , তারা রক্তপায়ী মাংস পিশাচীরূপেই
দেখে ।
এই হলো কলির জীবের ভয়ংকর বৈষ্ণব- অপরাধ।।
কলিযুগে পশুবলি নিষিদ্ধ । সত্য যুগে বৈদিক আচার
সম্পন্ন শুদ্ধ ব্রাহ্মনগণ যজ্ঞে বৃদ্ধ পশু আহুতি
দিয়ে তৎক্ষনাৎ মন্ত্রযোগে পশুর উন্নত
নবজীবন দান করবার যথেষ্ঠ ক্ষমতা তাদের ছিল ।
কিন্তু কলিযুগে বৈদিক আচারভ্রষ্ট মানুষের সে
ক্ষমতাই নেই । ভগবান শ্রীবিষ্ণুর অবতার বুদ্ধদেব
জগতে পশুবলি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন ,
সেই ইতিহাস আমাদের সবার জানা আছে।। (চৈতন্য
ব্রাদারহুড) মনুসংহিতায় "মাংস" কথাটির অর্থ ব্যাখ্যা করা
হয়েছে "মাম্ স খাদিত ইতি মাংস" অর্থাৎ, সেও
আমাকে এইভাবে খাবে যেরূপ আমি তাকে খাচ্ছি ।
"বলি দিয়ে মাংস খাওয়া ধর্মানুমোদিত মনে করে যদি
কেউ মাংসাশী হয় , তবে সে স্বধর্ম ত্যাগ করে
বিধর্মকেই স্বধর্ম মনে করে । (ভাঃ
১১/৫/১৩বিবৃতি)" "ধর্মজ্ঞানহীন সাধুত্ব অভিমানী
দুর্জন ব্যক্তি নিঃশঙ্কচিত্তে পশু হিংসা করলে
পরলোকে সেই পশুরাই ঘাতকদের অনুরূপভাবে
ভক্ষন করে থাকে" (ভাঃ ১১/৫/১৪)।। ______ মনে
রাখবেন,
ছাগ মহিষের রূপ ধরি ভয়ঙ্কর খন্ড খন্ড করি তার
কাটে কলেবর আর্তনাদ করি কান্দে হইয়া ফাপর
মহাশূলে তার অঙ্গ বিন্ধে নিরন্তর ॥
(শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী ৫/৫/৪১-৪৪)
শ্রীমদ্ভাগবত (৫/২৬/৩১) শ্লোকে বলা হয়েছে
-"যারা পশুবলি দিয়ে ভৈরব বা ভদ্রাকালী প্রভৃতি
দেবদেবীর পূজা করে , হিংসা কবলিত সেই পশু
যমালয়ে রাক্ষস হয়ে ঘাতকের মতো সুতীক্ষ্ন
অস্ত্র দিয়ে তাদের বধ করে ।
মনে রাখবেন, এটি সতীদাহ প্রথার মতোই ভুল
করে সনাতনে ঢুকে পড়া একটি উটকো ঝামেলা যা
সনাতনের সুগৌরব ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ঠ।।
 মা কালী তো কখনোই এ কথা বলেননি যে
আমার পূজায় পাঠা বলি দিতে হবে তাই না??? বরং এমন
হয়েছে যে... " যখন রাজা সুরথ মা কালীকে
সন্তুষ্ট করার জন্য একশত পাঠা বলি দিয়েছিলেন...
তখন স্বর্গে যাবার সময় সেই একশত পাঠাই তার রাস্তা
আটকেছিল. তখন মা কালী বলেছিলেন বাবা আমি
তো কোনদিন বলিনি যে তুই আমাকে সন্তুষ্ট
করতে পাঠা বলি দে.......... এবং শেষ পর্যন্ত রাজা
সুরথকে তার পাপের শাস্তি পেতেই হয়..... সেই
একশত পাঠা মিলে তাকে একবার বলি দেয় "........
ভগবানের পূজো অন্য কারও জীবন নিয়ে
কখোনোই সম্পন্ন হতে পারে না.... তার জন্য
চাই মন থেকে ভক্তি, শ্রদ্ধা, জীবপ্রেম আর
ভগবানের প্রতি অটুট ভালোবাসা.... তাই আসুন এই বলি
প্রথার প্রতি আজ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই...
অন্যকেও এ প্রথা পালন থেকে সরিয়ে আনতে
চেষ্টা করি.......
।।জয় মা।।

No comments

বাস্তুদোষ কাটান ।ও।বিদ্যা শিক্ষার উন্নতির জন্য বাড়িতে দক্ষিণা বর্তী শঙ্খ রাখুন উন্নতি আসবে।

বাস্তুদোষ কাটান ।ও।বিদ্যা শিক্ষার উন্নতির জন্য বাড়িতে দক্ষিণা বর্তী শঙ্খ রাখুন উন্নতি আসবে। https://youtu.be/fFBQjxcQzxc https://youtu....

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.