কালসর্প দোষ কি?
কালসর্প দোষ যদি থাকে কোষ্ঠীতে তাহলে তার জীবনে নেমে আসে দুর্ভাগ্য ও হতাশার অন্ধকার। এই যোগ হয় দ্বাদশ প্রকার। কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।
১) অনন্ত কালসর্প- লগ্নে রাহু ও সপ্তমে কেতু থাকলে এই দোষের সৃষ্টি হয়।
বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৈবাহিক সম্পর্ক। বিয়ে হয় খুব চেষ্টা করে ও অনেক দেরিতে। বিভিন্ন বাধা আসে বিয়ের কথা উঠলে। যদিওবা একসময়ে বিয়ে হল, বিবাহিত জীবন অশান্তিযুক্ত ও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যপক ভাবে। বিবাহবিচ্ছেদের পথে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল।
বিচ্ছেদ জনিত খোরপোষ ইত্যাদী কারনে অর্থনাশ ও ঋনগ্ৰস্থ হতে হয় জাতককে।
শরীরে নানা ব্যধি থাকে, ক্রোধ বেশি। ব্যবহার অসংযত।
২) কূলীক- লগ্নের দ্বিতীয়ে রাহু ও অষ্টমে কেতু এই দোষের পরিচয় দেয়।
বাল্যকালে বিদ্যায় বাধা, বিভিন্ন ভাবে নেশাগ্ৰস্ত হওয়া এবং তার জন্য শরীর ও স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। উপরন্তু ধনস্থানে রাহু ঋনযোগ নিয়ে আসে প্রবল ভাবে। দারিদ্র্য অবশ্যম্ভাবী। আচমকা দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হতে পারে। নয়তো মৃত্যুতুল্য যাতনা তো আছেই।
২০১৯ সালে ৭ টি রাশির নিশ্চিত বিবাহ যোগ:- https://youtu.be/fFBQjxcQzxc
৩) বাসুকি- লগ্নের তৃতীয়ে রাহু ও নবমে কেতু এই দোষের কারক।
জীবন নিংড়ে নিয়েছে সব সুখ। চেষ্টা ও উদ্যম থাকা সত্ত্বেও ফল পায় খুব সামান্য। স্বল্প রোজগারের জন্য অতি পরিশ্রম করতে হয়। বন্ধু ও আত্মীয়বেশী শত্রু বেষ্টিত। যাকে মনের কথা বলবে সেই প্রতারণা করার সুযোগ খুঁজবে।
৪) শঙ্খপাল- লগ্নের চতুর্থে রাহু ও দশমে কেতু এই দোষের জন্ম দেয়। এই দোষের ফলে জাতক বা জাতিকার বাল্যকাল থেকে নানা কুসঙ্গ ও কুঅভ্যাস জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। চৌর্যবৃত্তির স্বভাব দেখা যায় বাল্যকাল থেকেই। বিদ্যায় বিভিন্ন ভাবে বাধা আসতে থাকে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের পরিবর্তন একটা প্রধান কারন হতে পারে। পরবর্তী জীবনে যার প্রভাব ভুগতে হয় জাতককে।
এমনকি জাতকের পিতা মাতাও কিছু অশুভত্ব দ্বারা পীড়িত হন এই দোষের জন্য।
৫)পদ্ম- লগ্নের পঞ্চমে রাহু ও একাদশে কেতুর অবস্থান এই দোষের কারক।
জাতকের উচ্চশিক্ষা, প্রেম, প্রেমবিবাহ ও সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয় প্রবল ভাবে। সন্তান জন্ম গ্ৰহন করে দুর্বল সাস্থ্য নিয়ে। কিছু ক্ষেত্রে পঙ্গু সন্তান জন্ম নেয়। প্রেমবিষয়ক যেকোনো সিদ্ধান্ত বিপদ ডেকে আনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। বিবাহিত জীবন অশান্তিযুক্ত।
৬) মহাপদ্ম- লগ্নের ষষ্ঠে রাহু ও দ্বাদশে কেতু থাকলে এই দোষের সৃষ্টি হয়।
কর্মক্ষেত্রে শত্রু বৃদ্ধি, কতৃপক্ষের সাথে মতান্তর ঘটবেই। অকস্মাৎ মামলা, ব্যয় বেশি আয় কম এবং সরকারি সংস্থার সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে অর্থনাশ এই দোষের কারকতা।
৭) তক্ষক- লগ্নে কেতু ও সপ্তমে রাহু তক্ষক কালসর্প যোগের হেতু।
শরীর ব্যাধিযুক্ত, ভুল চিকিৎসায় অর্থনাশ হওয়ার সম্ভাবনা। ব্যবসা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মিলিত ভাবে ব্যবসা করা একদমই উচিত নয়। জীবন সঙ্গী হবে অচেনা মানুষের মতো। যৌনজীবন অপরিতৃপ্ত। বিবাহিত জীবন অশান্তিযুক্ত।
৮) কর্কোতক- দ্বিতীয়ে কেতু অষ্টমে রাহু এই দোষের সৃষ্টিকর্তা।
পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে। পরিবারের সদস্যদের থেকে অপমানিত হতে হবে। বন্ধুবান্ধব প্রতারণা করবে। বেশি বয়সে বিয়ে ও অসুখী বিবাহিত জীবন। বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা ও তার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। নেতিবাচক মনোভাব। হতাশার ভাব বেশি।
১) অনন্ত কালসর্প- লগ্নে রাহু ও সপ্তমে কেতু থাকলে এই দোষের সৃষ্টি হয়।
বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৈবাহিক সম্পর্ক। বিয়ে হয় খুব চেষ্টা করে ও অনেক দেরিতে। বিভিন্ন বাধা আসে বিয়ের কথা উঠলে। যদিওবা একসময়ে বিয়ে হল, বিবাহিত জীবন অশান্তিযুক্ত ও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যপক ভাবে। বিবাহবিচ্ছেদের পথে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল।
বিচ্ছেদ জনিত খোরপোষ ইত্যাদী কারনে অর্থনাশ ও ঋনগ্ৰস্থ হতে হয় জাতককে।
শরীরে নানা ব্যধি থাকে, ক্রোধ বেশি। ব্যবহার অসংযত।
২) কূলীক- লগ্নের দ্বিতীয়ে রাহু ও অষ্টমে কেতু এই দোষের পরিচয় দেয়।
বাল্যকালে বিদ্যায় বাধা, বিভিন্ন ভাবে নেশাগ্ৰস্ত হওয়া এবং তার জন্য শরীর ও স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। উপরন্তু ধনস্থানে রাহু ঋনযোগ নিয়ে আসে প্রবল ভাবে। দারিদ্র্য অবশ্যম্ভাবী। আচমকা দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হতে পারে। নয়তো মৃত্যুতুল্য যাতনা তো আছেই।
২০১৯ সালে ৭ টি রাশির নিশ্চিত বিবাহ যোগ:- https://youtu.be/fFBQjxcQzxc
৩) বাসুকি- লগ্নের তৃতীয়ে রাহু ও নবমে কেতু এই দোষের কারক।
জীবন নিংড়ে নিয়েছে সব সুখ। চেষ্টা ও উদ্যম থাকা সত্ত্বেও ফল পায় খুব সামান্য। স্বল্প রোজগারের জন্য অতি পরিশ্রম করতে হয়। বন্ধু ও আত্মীয়বেশী শত্রু বেষ্টিত। যাকে মনের কথা বলবে সেই প্রতারণা করার সুযোগ খুঁজবে।
৪) শঙ্খপাল- লগ্নের চতুর্থে রাহু ও দশমে কেতু এই দোষের জন্ম দেয়। এই দোষের ফলে জাতক বা জাতিকার বাল্যকাল থেকে নানা কুসঙ্গ ও কুঅভ্যাস জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। চৌর্যবৃত্তির স্বভাব দেখা যায় বাল্যকাল থেকেই। বিদ্যায় বিভিন্ন ভাবে বাধা আসতে থাকে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের পরিবর্তন একটা প্রধান কারন হতে পারে। পরবর্তী জীবনে যার প্রভাব ভুগতে হয় জাতককে।
এমনকি জাতকের পিতা মাতাও কিছু অশুভত্ব দ্বারা পীড়িত হন এই দোষের জন্য।
৫)পদ্ম- লগ্নের পঞ্চমে রাহু ও একাদশে কেতুর অবস্থান এই দোষের কারক।
জাতকের উচ্চশিক্ষা, প্রেম, প্রেমবিবাহ ও সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয় প্রবল ভাবে। সন্তান জন্ম গ্ৰহন করে দুর্বল সাস্থ্য নিয়ে। কিছু ক্ষেত্রে পঙ্গু সন্তান জন্ম নেয়। প্রেমবিষয়ক যেকোনো সিদ্ধান্ত বিপদ ডেকে আনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। বিবাহিত জীবন অশান্তিযুক্ত।
৬) মহাপদ্ম- লগ্নের ষষ্ঠে রাহু ও দ্বাদশে কেতু থাকলে এই দোষের সৃষ্টি হয়।
কর্মক্ষেত্রে শত্রু বৃদ্ধি, কতৃপক্ষের সাথে মতান্তর ঘটবেই। অকস্মাৎ মামলা, ব্যয় বেশি আয় কম এবং সরকারি সংস্থার সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে অর্থনাশ এই দোষের কারকতা।
৭) তক্ষক- লগ্নে কেতু ও সপ্তমে রাহু তক্ষক কালসর্প যোগের হেতু।
শরীর ব্যাধিযুক্ত, ভুল চিকিৎসায় অর্থনাশ হওয়ার সম্ভাবনা। ব্যবসা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মিলিত ভাবে ব্যবসা করা একদমই উচিত নয়। জীবন সঙ্গী হবে অচেনা মানুষের মতো। যৌনজীবন অপরিতৃপ্ত। বিবাহিত জীবন অশান্তিযুক্ত।
৮) কর্কোতক- দ্বিতীয়ে কেতু অষ্টমে রাহু এই দোষের সৃষ্টিকর্তা।
পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে। পরিবারের সদস্যদের থেকে অপমানিত হতে হবে। বন্ধুবান্ধব প্রতারণা করবে। বেশি বয়সে বিয়ে ও অসুখী বিবাহিত জীবন। বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা ও তার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। নেতিবাচক মনোভাব। হতাশার ভাব বেশি।
No comments