ইচ্ছে পূরণে মন ভরে জপে নিন হনুমান চল্লিশার এই পাঁচ মন্ত্র

ইচ্ছে পূরণে মন ভরে জপে নিন হনুমান চল্লিশার এই পাঁচ মন্ত্র





★★★ইচ্ছে পূরণে মন ভরে জপে নিন হনুমান চল্লিশার এই পাঁচ মন্ত্র★★★
----------------------------------------------------------------------------
হনুমান চল্লিশা হল রামায়নের অন্যতম মুখ্য ব্যক্তিত্ব হনুমানের প্রতি নিবেদিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক চল্লিশা৷ এই চল্লিশা অবধী ভাষায় লিখিত৷ চল্লিশটি চৌপাই দ্বারা রচিত কবিতা৷ এটি রচনা করেছিলেন তুলসীদাস৷ এই চল্লিশটি চৌপাইয়ের রয়েছে সুপ্ত বেশ কিছু ক্ষমতা৷ তবে, বেশ কিছু প্রাচীন পন্ডিতদের মতে, এই চল্লিশটি চৌপাইয়ের মধ্যে পাঁচটি চৌপাইয়ের মধ্যে রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা৷ এই মন্ত্রোচ্চারণে আপনার স্বাস্থ, সম্পত্তি এবং সমৃদ্ধি আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে৷
রামায়ন মহাকাব্য থেকেই আমরা জানতে পেরেছি হনুমান ছিল রামের এক বড় ভক্ত৷ সে তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়টিই রামের হয়ে যুদ্ধ করে গিয়েছিলেন শত্রুদের সঙ্গে৷ সীতার আশীর্বাদে অমরত্ব লাভ করেছিল হনুমান৷ কথিত আছে, আজও যদি কেউ মন দিয়ে হনুমান চল্লিশা, সুন্দরকান্ড, রামচরিত মানস এবং রামায়ন পাঠ করেন তবে, সেই স্থানে এসে উপস্থিত হন হনুমানজি৷
তবে, হনুমান চল্লিশা ছাড়াও রয়েছে দূর্গা চল্লিশা, শিব চল্লিশা প্রমুখ৷ এগুলির মধ্যেও রয়েছে চল্লিশটি চৌপাই৷ কথিত আছে, এই চল্লিশটি চৌপাই কিংবা কবিতার স্তবক যদি কেউ কয়েকবার পড়েন তাহলে সকলের নাকি সেটি একেবারে মুখস্থ হয়ে যায়৷ এটি ছোট থেকে বড় সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷ কথিত আছে, রামের পূজা করার আগে অবশ্যই করুন হনুমান পূজা৷ একটি নারকেল এবং সামান্য দক্ষিণা দিয়েই করতে পারেন এই পূজা৷ তবে পূজা করার সময় মন থেকে এই দুই ভগবানের নাম আপনাকে নিতেই হবে৷ কুশের আসন কিংবা লাল রংয়ের আসনে বসে হনুমানের পূজা করা আবশ্যিক৷
১) रामदूत अतुलित बलधामा। अंजनिपुत्र पवनसुत नामा৷ হনুমান পূজার সময়ে এই মন্ত্রোচ্চারণ করলে আপনি সমস্ত রকম শারিরীক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবেন৷
২) महाबीर बिक्रम बजरंगी। कुमति निवार सुमति के संगी। এই মন্ত্রোচ্চারণে আপনি জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হবেন৷
৩) बिद्यबान गुनी अति चातुर। रामकाज करीबे को आतुर। যদি কোনও ব্যক্তি এই দুনিয়া থেকে জ্ঞান সমৃদ্ধ হতে চান তাহলে অবশ্যই এই মন্ত্রোচ্চারণ করা আবশ্যিক৷
৪) भीम रूप धरि असुर संहारे। रामचंद्रजी के काज संवारे। শত্রুদের থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই এই মন্ত্রোচ্চারণ করুন৷
৫) लाय संजीवन लखन जियाये। श्रीरघुबीर हरषि उर लाये। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও রোগে ভোগেন তাহলে অবশ্যই এই মন্ত্রটি মন থেকে উচ্চারণ করুন৷ সুফল মিলবেই৷
তাই আজ থেকে হনুমান চল্লিশা পাঠ করা আরম্ভ করে দেন।
জয় হনুমান।
শ্রী হনুমান চালীসা(হিন্দি):-
------------------------
জয় শ্রী শ্রী হনুমান চালীসা
শ্রীহনুমতে নমঃ
জয় শ্রী শ্রী হনুমান চালীসা
শ্রী গুরু চরন সরোজ রজ নিজমনু মুকুরু সুধারি |
বরনঊ রঘুবর বিমল জসু জো দায়কু ফল চারি ||
বুদ্ধিহীন ননু জানিকে সুমিরৌ পবন কুমার |
বল বুদ্ধি বিদ্য়া দেহু মোহি হরহু কলেস বিকার ||
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর | জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর || ১ ||
রামদূত অতুলিত বলধামা | অংজনি পুত্র পবনসুত নামা || ২ ||
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী | কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী ||৩ ||
কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা | কানন কুংডল কুংচিত কেশা || ৪ ||
হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ | কাংথে মূংজ জনেঊ সাজৈ || ৫||
শংকর সুবন কেসরী নন্দন | তেজ প্রতাপ মহাজগ বন্দন || ৬ ||
বিদ্য়াবান গুণী অতি চাতুর | রাম কাজ করিবে কো আতুর || ৭ ||
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া | রামলখন সীতা মন বসিয়া || ৮||
সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়হিং দিখাবা | বিকট রূপধরি লংক জরাবা || ৯ ||
ভীম রূপধরি অসুর সংহারে | রামচংদ্র কে কাজ সংবারে || ১০ ||
লায় সংজীবন লখন জিয়ায়ে | শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে || ১১ ||
রঘুপতি কীন্হী বহুত বডাঈ | তুম মম প্রিয় ভরতহি সম ভাঈ || ১২ ||
সহস বদন তুম্হরো জাস গাবৈ | অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবৈ || ১৩ ||
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা | নারদ শারদ সহিত অহীশা || ১৪ ||
জম(য়ম) কুবের দিগপাল জহাং তে | কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে || ১৫||
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা | রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা || ১৬ ||
তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা | লংকেশ্বর ভএ সব জগ জানা || ১৭ ||
য়ুগ সহস্র য়োজন পর ভানূ | লীল্য়ো তাহি মধুর ফল জানূ || ১৮ ||
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী | জলধি লাংঘি গয়ে অচরজ নাহী || ১৯ ||
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে | সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে || ২০ ||
রাম দুআরে তুম রখবারে | হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে || ২১ ||
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা | তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না || ২২ ||
আপন তেজ তুম্হারো আপৈ | তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ || ২৩ ||
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ | মহবীর জব নাম সুনাবৈ || ২৪ ||
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা | জপত নিরংতর হনুমত বীরা || ২৫ ||
সংকট তেং(সেং) হনুমান ছুডাবৈ | মন ক্রম বচন ধ্য়ান জো লাবৈ || ২৬ ||
সব পর রাম তপস্বী রাজা | তিনকে কাজ সকল তুম সাজা || ২৭||
ঔর মনোরধ জো কোই লাবৈ | সোঈ অমিত জীবন ফল পাবৈ || ২৮ ||
চারো যুগ পরিতাপ তুম্হারা | হৈ পরসিদ্ধ জগত উজিয়ারা || ২৯ ||
সাধু সন্ত কে তুম রখবারে | অসুর নিকন্দন রাম দুলারে || ৩০ ||
অষ্ঠসিদ্ধি নৌ(নব) নিধি কে দাতা | অস বর দীন্হ জানকী মাতা ||৩১ ||
রাম রসায়ন তুম্হারে পাসা | সাদ রহো রঘুপতি কে দাসা || ৩২ ||
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ | জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ || ৩৩ ||
অংত কাল রঘুবর পুরজাঈ | জহাং জন্ম হরিভক্ত কহাঈ || ৩৪ ||
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরঈ | হনুমত সেই সর্ব সুখ করঈ || ৩৫ ||
সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা | জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা || ৩৬ ||
জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাঈ | কৃপা করো গুরুদেব কী নাঈ || ৩৭ ||
জো শত বার পাঠ কর কোঈ | ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোঈ || ৩৮ ||
জো য়হ পডৈ হনুমান চালীসা | হোয় সিদ্ধি সাখী গৌরীশা || ৩৯ ||
তুলসীদাস সদা হরি চেরা | কীজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা || ৪০ ||
দোহা পবন তনয় সঙ্কট হরণ – মঙ্গল মূরতি রূপ |
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয় বসহু সুরভূপ ||
সিয়াবর রামচন্দ্রকী জয় | পবনসুত হনুমানকী জয় |
হনুমান চালীসা(বাংলা):-
-----------------------------------------
দোহা
স্মরণ করি শ্রী গুরু চরণ নিজ মন মুকুর সুধার
করি বর্ণন রঘুনাথ যশঃ যাহা ফল দায়ক চার
বুদ্ধি তনু জানিয়া স্মরণ করি পবন কুমার
বল বুদ্ধি বিদ্যা দাও হে প্রভু হর মোর ক্লেশ আর মনের বিকার
চৌপাহী
জয় হনূমান জ্ঞান গুণ সাগর।
জয় কপিশ ত্রিলোক উজাগর।
রাম দূত তুমি অতি বলশালী।
অঞ্জনী পুত্র পবন সূত মহাবলী।
মহাবীর যে নাম তব তুমি বজরঙ্গী।
কুমতি নিবার প্রভু, সুমতির সঙ্গী।
কাঞ্চন বরণ তব, বেশ সুবেশা।
কানেতে কুন্তল, কুঞ্চিত কেশা।
হাতে তে বজ্র আর ধ্বজা বিরাজে।
কাঁধেতে মুঞ্জ, উপবীত সাজে।
শঙ্করাংশে জন্ম তব, হে কেশরী নন্দন।
তেজ প্রতাপ তব মহা জগ বন্দন।
বিদ্যাবান তুমি, তুমি অতি চতুর।
রাম কাজ করিবারে, আতুর।
প্রভু চরিত্র শুনিবার রাখ অভিলাষা।
রাম-লখন আর সীতায় দাও ভালবাসা।
সুক্ষ্মরূপ ধরি, অসুর সংহার।
শ্রী রঘুনাথ সকল কাজ সার।
আনি সঞ্জীবনী, সৌমিত্রে বাচাইলে।
রাঘবের মনে তুমি, হরষ আনিলে।
তব কাজে রঘুনাথ মুগ্ধ হইলো।
ভরত ভ্রাতা সম, আলিঙ্গন দিল।
স্বনকাদি ব্রহ্মাদি, ঋষি মুনি যত।
তব গুন গাহে, নারদ সহিত।
যম কুবের, দিকপাল যেখানে।
কবি কৌবিদ তারে, কহিনা কেমনে।
সুগ্রীব উপকার, ততুমি যে করিলে।
রামে মিলায়ে তারে, রাজপদ দিলে।
তোমারি মন্ত্র যবে, বিভীষন মানিল।
লঙ্কেশ হইল সে, সারা বিশ্ব জানিল।
সহস্র যোজন দূরে, থাকে যে ভানু।
ধাইলে লইতে তাহা, তুমি বীর হনু।
প্রভুমুদ্রিকা, রাখি মুখ মাঝে।
জলধি লঙ্ঘিলে, রঘুনাথ কাজে।
দুর্গম কাজ যত, জগতে আছে।
সুগম যে হয় তাহা তোমারি কাছে।
তুমি যে দ্বারী, রাম দুয়ারে।
আজ্ঞা বিনা কেহ, প্রবেশিতে নারে।
তোমারি স্মরণে যে, সব সুখ পা-ই।
রক্ষক হ'লে তুমি, কোন ভয় না-হি।
মহাতেজ তেজবনিকর জবে আপনারে।
ত্রিলোক যে কাঁপে, তব বিকট হুঙ্কারে।
ভূত পিশাচ, নিকট নাহি আসে।
তব নাম লয় যে, থাক তার পাশে।
নাশ করহ সব রোগ, হরহ সব পীড়া।
যে জন নিরত জপে, হনুমান বলবীরা।
সব সঙ্কট কর মোচন, তুমি বীর হনুমান।
মন ক্রম বচনে, ধরে যে ধ্যান।
সর্বোপরি রাম রাজার যে তপস্বী রূপ।
তাহার সকল কাজ কর তুমি অনুপ।
যে কোন মনোরথ, যে জন করিবে।
তোমারি কৃপায় সে, অমিত ফল পাবে।
চারি যুগ তব, প্রতাপ-বাখানি।
জগতে খ্যাত তুমি, তাহা যে জানি।
সাধু সন্তের, তুমি রক্ষা কারি।
অসুর নিকন্দন, তুমি দুঃখ হারি।
অষ্ট-সিদ্ধি আর, নয়-নিধির দাতা।
আশীষ-করিলা তোমা, জানকী মাতা।
রাম রসায়ন, তোমারি পাশে।
রুঘুপতি সম মনে, রেখো এ দাসে।
তোমারি ভজন গাহি, রাম পদ লভি।
জনম জনম ভুলি, দুঃখ যে সবই।
অন্তিম কালে স্থান, দিও রঘুবর পুরে।
রাম নাম সেথা যেন, পাই জপিবারে।
রাম নাম জপে যে, সে বড় চতুর
সঙ্কট মোচন হয়, হয় শোক সব দূর।
শোক তাপ মোচন করে, হরে সব পীড়া।
যে জন স্মরণ করে, হনুমান বল বীরা।
জয়-জয়-জয়, হনুমান জ্ঞান গোঁসাঈ ।
কৃপা করহ দেব, ভাঁতি গুরু ভাই।
যে জন নিত্য পাঠ করে, হনুমান চালিশা।
মহাসুখ পায় হে, নাম রটে চহু দিশা।
জয় হনুমান, জয়-জয় মহাবীর।
"তারায়" তারাও প্রভু, এ ভব সাগর।
দোহা
পবন তনয় সম্কট হরণ, মঙ্গল মুরতি রূপ।
রাম লখন সীতা সহ, হৃদয়ে বসহ কপিসূত।
একবার প্রেমা-বেগে-বল।
সীতাপতি শ্রী রামচন্দ্রের জয়।
মহাবীর বজরংবলীর জয়।
পবনসুত হনুমানের জয়।
সংগ্রাহক এক তুচ্ছ ভক্ত।

No comments

বাস্তুদোষ কাটান ।ও।বিদ্যা শিক্ষার উন্নতির জন্য বাড়িতে দক্ষিণা বর্তী শঙ্খ রাখুন উন্নতি আসবে।

বাস্তুদোষ কাটান ।ও।বিদ্যা শিক্ষার উন্নতির জন্য বাড়িতে দক্ষিণা বর্তী শঙ্খ রাখুন উন্নতি আসবে। https://youtu.be/fFBQjxcQzxc https://youtu....

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.