তন্ত্র কথা 2
তন্ত্র কথা
আপনার আর্থিক অনটন চলছে, কিছুতেই কোন রাস্তা পাচ্ছেন না? নতুন কিছু করতে চাইছেন কিন্তু সুযোগ আসছে না। সুযোগ যদিও আসছে সেটা কাজে লাগানোর আগেই হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এরকম সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত ভুগছেন এমন অনেক মানুষ আছেন। কর্মের কিছু দোষ তো আছেই, কিন্তু তার সমাধান করতে গেলেও তো কিছু অর্থের প্রয়োজন পড়ে। সবাই যে জ্যোতিষ শাস্ত্র মেনে সবকিছু করেন তাও নয়। এমনকি অনেক নাস্তিক মানুষও আছেন যাঁরা এসব তন্ত্র মন্ত্র, জ্যোতিষ কিছুই বিশ্বাস করেন না। কিন্তু সমস্যা তাঁদের জীবনেও আসে, আর অবিশ্বাস করার জন্য তাঁরা সেই বিপদ থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তাও পান না। যদি সামান্য বিশ্বাস করতে পারলে অনেকখানি উপকার পাওয়া যায় তাহলে আমি আজকে যেটা বলবো সেটা প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। আর যাঁরা বিশ্বাস করেন তাঁরা তো অবশ্যই শ্রদ্ধা সহকারে করে লাভ পেতে পারেন জীবনে। বিশেষ কোনো খরচ করতে হবে না। বিরাট পরিবর্তন কিছু হবেনা, তবে যোগাযোগের রাস্তা খুলে যাবে। আর তারপরের পরিবর্তন তো আপনার নিজের হাতে। তন্ত্র কোন যাদুকরী বিদ্যা নয়, কোন লোক ঠকানো ব্যপারও নয়। প্রকৃতির মধ্যেই লুকিয়ে থাকা শুভ বা অশুভ শক্তিকে কিছু বিশেষ ক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের কাজে লাগানোর পদ্ধতি টাই তন্ত্রের সাহায্যে শেখানো হয়।
কিন্তু সর্বদা মনে রাখবেন যে প্রকৃতি আপনার ইচ্ছাধীন নয়, বরং আমরাই প্রকৃতির ইচ্ছাধীন। তাই যেকোনো তান্ত্রিক ক্রিয়া করতে গেলে আর কিছু না হোক আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তি রাখলে ক্রিয়ার ফল পাবেনই। শুধু পরীক্ষা করে দেখার জন্য কোন ক্রিয়া করবেন না।
এবার আসি মূল কথায়।
এই ক্রিয়া করবেন শুক্লপক্ষের শুক্রবার দেখে। যদি একাদশী তিথি পড়ে ক্ষতি নেই কিন্তু পূর্ণিমা পড়লে করবেন না।
শুক্রবার বেলা বারোটার আগে তালা বিক্রি করে এমন একটা দোকান থেকে একটা তালা কিনবেন একদরে ও তালাটা না খুলে। দোকানী বা আপনি কেউ তালা খুলবেন না।
তালাটা লুকিয়ে নিয়ে আসবেন যাতে কেউ না দেখতে পায়। সেই রাতে আপনার বালিশের বামদিকে একটা মাপমতো কৌটোর ভেতরে তালাটা রেখে ঢাকনা খুলে রেখে দিন। তালার সাথে যে চাবি দিয়েছে সেটা রাখুন আপনার বালিশের নিচে।
শনিবার সকালে উঠে চাবিটা বের করে কৌটোর ভেতরে রেখে ঢাকনা বন্ধ করে দিন।
স্নান করে শুদ্ধভাবে কৌটোটা গোপন করে নিয়ে চলে যান হনুমানজীর মন্দিরে।
লাল লাড্ডু, কাঁঠালী কলা আর ছোলাভাজা দিয়ে বজরংবলী কে পুজো দিন। আর মন্দিরে বসেই একমনে হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন ভক্তিভরে।
পুজো শেষ করে হনুমান দেবকে বলুন যে আপনার যাবতীয় দুর্ভাগ্য আজ আপনি তাঁর চরনে ছেড়ে রেখে যাচ্ছেন, তিনি যেন কৃপা করে সব কিছু মন্দের বিনাশ করেন।
এবার কৌটোটা এমন ভাবে হনুমান জীর মন্দিরে ছেড়ে আসবেন যেন কেউ না দেখতে পায়।
যে কেউ পরে কৌটোটা পেয়ে সেটা থেকে তালাটা বের করে খুললেই আপনার ভাগ্যের তালা খুলে যাবে।
প্রয়োগ করে দেখতে পারেন, লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না।
Institute of Vedic Astrology offers Online Vedic Astrology, Vedic Vastu Shastra, Palmistry and Numerology training Courses through distance learning and Correspondence. Learn Astrology and Vastu Online from Home
ReplyDelete