বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে যে কোনও ধরনের গণেশের মূর্তি বাড়িতে রাখা উচিত নয়




বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে যে কোনও ধরনের গণেশের মূর্তি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। এক্ষেত্রে গণেশের শুঁড় কোন দিকে রয়েছে, সেদিকে নজর দিতে হবে। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই নিয়মটি মেনে চলা না হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসার পরিবর্তে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধটিতে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
শাস্ত্র মতে গণেশ ঠাকুর হলেন সমৃদ্ধির দেবতা। তাই তো নিয়মিত যদি গণেশ ঠাকুরের পুজো শুরু করা যায়, তাহলে ধনবান হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রেও সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এমনটা তখনই সম্ভব হবে, যখন আপনি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি কিনে আনবেন বাড়িতে। এক্ষেত্রে আর কিছু নয়, খেয়াল রাখতে হবে গণেশ ঠাকুরের শুঁড় কোন দিকে আছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
১. বাড়িতে রাখতে হবে যে মূর্তিঃ-
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে যে মূর্তিতে গণেশের শুঁড় বাঁদিকে রয়েছে, তেমন মূর্তি বাড়াতে এনে রাখা উচিত। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে গৃহে চন্দ্রের শুভ প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে সুখ-শান্তি বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়। ফলে সাফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কী বিষয়? গণেশ ঠাকুরের শুঁড় যেমন বাঁদিকে থাকবে, তেমনি দেব যেন বসা অবস্থায় থাকে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বসা অবস্থায় থাকা গণেশ ঠাকুরের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে বেজায় উপকার পাওয়া যায়।
২. গণেশ ঠাকুর নাঁচছেন এমন মূর্তি নৈব নৈব চঃ-
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের মূর্তি ভুলেও বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ এই ধরণের মূর্তি মূলত অনিয়ন্ত্রিত এনার্জির প্রতীক। তাই তো এমন ধরনের মূর্তি গৃহের মধ্যে থাকলে বাড়িতে অস্থিরতা বাড়তে থাকে। ফলে সুখ-শান্তি দূরে পালায়।
৩. এমন মূর্তি যার শুঁড় রয়েছে ডান দিকেঃ-
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে ডান দিকে শুঁড় রয়েছে এমন গণেশ ঠাকুরের মূর্তি প্রতিদিন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পুজো করতে হয়। আর যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে এই পুজো করা না যায়, তাহলে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে উপকার হওয়ার থেকে অপকার হয় বেশি। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে নানাবিধ বিপদ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তবে এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় জেনে রাখা উচিত। ডান দিকে শুঁড় রয়েছে এমন গণেশের মূর্তিকে "সিদ্ধিবিনায়ক" নামে ডাকা হয়ে থাকে। এমন মূর্তিকে যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে পুজো করতে পারেন, তাহলে মনের ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, জানেন কি মুম্বাইয়ের বিখ্যাত সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে যে গণেশের মূর্তি রয়েছে তার শুঁড় ডান দিকে। এবার বুঝেছেন তো এই মন্দিরকে কেন সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির নামে ডাকা হয়ে থাকে!
৪. শুঁড় ছুঁয়ে রয়েছে লাডডুকেঃ-
খেয়াল করে দেখবেন গণেশ ঠাকুরের এমনও মূর্তি রয়েছে, যাতে শুঁড় ছুয়ে থাকে হাতে থাকা লাডডু বা মিষ্টিকে। এমন ধরনের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, সফলতা রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে।
৫. শুঁড় যখন একেবারে সোজাঃ-
গণেশ ঠাকুরর শুঁড় ডান দিকে বা বাঁদিকে না থেকে যদি সোজা থাকে, তাহলে এমন মূর্তি কিনতে ভুলবেন না যেন! কারণ বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এই ধরনের গণেশ মূর্তি বেজায় শুভ। তাই তো এমন ধরনের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গৃহে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। মেলে অর্থনৈতিক সাফল্যও। তবে এই ধরনের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে নিরামিষ খেতে হয়। শুধু তাই নয়, যেখানে গণেশ ঠাকুরকে প্রতিষ্টা করা হয়েছে যেখানে, সেই জায়গাটি যেন সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।
৬. মোদক বা মিষ্টির সংখ্যাঃ-
নারকেল এবং চিনি দিয়ে তৈরি মোদক হল গণেশ ঠাকুরের বেজায় পছন্দের মিষ্টি। তাই তো বাপ্পার পুজো করার সময় এই মিষ্টিটি পরিবেশন করা হয়ে থাকে। কিন্তু জানেন কি কতগুলি মোদক পরিবেশন করলে গণেশ ঠাকুর বেজায় খুশি হন? শাস্ত্র মতে গণেশ ঠাকুরের পুজো করার সময় বিজোড় সংখ্যায় মিষ্টি পরিবেশন করতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন উপকার পাবেন একেবারে হাতে-নাতে।

No comments

বাস্তুদোষ কাটান ।ও।বিদ্যা শিক্ষার উন্নতির জন্য বাড়িতে দক্ষিণা বর্তী শঙ্খ রাখুন উন্নতি আসবে।

বাস্তুদোষ কাটান ।ও।বিদ্যা শিক্ষার উন্নতির জন্য বাড়িতে দক্ষিণা বর্তী শঙ্খ রাখুন উন্নতি আসবে। https://youtu.be/fFBQjxcQzxc https://youtu....

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.