পুরীর জগন্নাথমন্দিরের ১০টি অলৌকিক ঘটনা
পুরীর জগন্নাথমন্দিরের ১০টি অলৌকিক ঘটনা, যা জানলে চোখ কপালে উঠবে..
পুরীর জগন্নাথ দেবের মাহাত্ম্য লোকমুখে শোনা যায়। পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে কিছু বিস্ময়কর ঘটনা রয়েছে।
১) প্রতি ১২ বছর অন্তর জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার নতুন মূর্তি তৈরী হয়। যা নব কলেবর নামে পরিচিত। এই মূর্তি নিম কাঠ দিয়ে তৈরী করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় এই যে নতুন মূর্তি তৈরীর সময় পুরানো মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয় না। ওই পুরোনো মূর্তিকে নতুন মূর্তির নীচে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়।
২) গর্ভমুড় হল পুরী মন্দিরের একটি অদ্ভুত অংশ যেখানে দেবতাদের সমস্ত অলংকার ও মূল্যবান দ্রব্য রাখা হয়। এই বিশেষ কক্ষের রক্ষণাবেক্ষণে যারা নিয়োজিত তারা হল কয়েক অদ্ভুত আকারের বিষধর সাপ ও স্বর্গীয় আত্মা।
৩) মন্দিরের উপরের অংশে একটি বৃহৎ চুম্বন শক্তি রয়েছে যা মন্দির কে ঝড় বৃষ্টি ও প্রকৃতি বিপর্যয়ের সময় মন্দির কে স্থির রাখতে সাহায্য করে। মাঝে মাঝে ওই অংশে বিশেষ তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় যা খুব আশ্চর্যের।
৪) কথিত আছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের উপর দিয়ে পাখি বা উড়োজাহাজ যেতে পারেনা।
৫) সূর্যের অবস্থান যেমনি হোক না কেন পুরীর মন্দিরের চূড়ার ছায়া কোন দিন মাটিতে পড়ে না।
৬) আমরা ভূগোলে পড়েছি দিনের বেলা বাতাস সমুদ্রের তীরের দিকে ও রাতের বেলা উল্টো দিকে প্রবাহিত হয়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার পুরীতে এই বাতাসের গতি বিপরীত।
৭) মূল মন্দিরের চূড়ায় যে সুদর্শন চক্র রয়েছে তা আপনি যে দিক থেকে দেখবেন তার মুখ সামনের দিকে থাকবে। কথিত আছে প্রায় দু হাজার বছর আগে মন্দিরের চূড়ায় এই সুদর্শন চক্র লাগানো হয়।
৮) মন্দিরটি সমুদ্রের তীরে অবস্থিত হওয়ার সত্ত্বেও মন্দিরে প্রবেশ করলে সমুদ্রের শব্দ শোনা যায় না। এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না থাকলেও লোক মুখে প্রচলিত আছে যে সুভদ্রা চেয়েছিলেন যে মন্দিরে সবসময় যেন শান্তি বিরাজ করে।
৯) একটার উপর একটা এভাবে ৭ টি হাঁড়ি সাজিয়ে জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্না করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় এই যে সবচেয়ে উপরের হাঁড়ির ভোগ ই প্রথম রান্না হয়।
১০) মন্দিরের চূড়ায় যে পতাকা রয়েছে তা প্রতিদিন সন্ধ্যায় লাগানো হয় এবং সকাল বেলা খুলে নেওয়া হয়। একদিন এই নিয়মের ব্যতিক্রম হলে পরবর্তী ১৮ বছর মন্দির বন্ধ থাকবে। এই পতাকাটি বাতাসের উল্টো দিকে উড়ে।
No comments