রুদ্রাক্ষ ধারণ
রুদ্রাক্ষ ধারণ এক অতি পবিত্র বিষয় বলে পরিগণিত হয় সনাতন ধর্মে। রুদ্রাক্ষকে শৈবাগম মনে করে মহাদেবের প্রত্যক্ষ আশীর্বাদ। ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে ইন্দোনেশিয়ায় রুদ্রাক্ষ লভ্য। এটি একটি গাছের ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম এলিওকারপাস গ্যানিট্রাস। নেপালে জন্মানো রুদ্রাক্ষকেই গুণগত মানে উন্নত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিবিধ কারণে সনাতন জ্যোতিষে রুদ্রাক্ষ ধারণের নির্দেশ রয়েছে। প্রাচীন তামিল শৈব সিদ্ধান্ত-গ্রন্থ ‘তিরুমন্তিরম’ বিশদে জানায় রুদ্রাক্ষ-মহিমা।
রুদ্রাক্ষের গায়ে যে শিরার মতো দাগ দেখা যায়, তাকেই রুদ্রাক্ষের ‘মুখ’ বলা হয়। সাধারনত ১ থেকে ২১ পর্যন্ত মুখ দেখা যায় রুদ্রাক্ষের। এর বাইরেও রুদ্রাক্ষের রকমফের রয়েছে। প্রতিটি রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতাও রয়েছেন। প্রতিটি রুদ্রাক্ষের উপরে নিয়ন্ত্রণরত গ্রহরাও পৃথক। এখানে কোন রুদ্রাক্ষের কী মহিমা, তা আলোচিত হল।
• একমুখী রুদ্রাক্ষ— এই রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতা স্বয়ং শিব। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে যাবতীয় পাপ নাশ হয়। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ রবি। যে ব্যক্তিরা ক্ষমতা লাভ করতে চান, তাঁরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল পাবেন।
• দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ— এই রুদ্রাক্ষ হরপার্বতীর দ্যোতক। শিব ও শক্তি যুগপৎ এতে অবস্থান করেন। একে তাই ‘অর্ধনারীশ্বর’ হিসেবেও ধরা হয়। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ চন্দ্র। আধ্যাত্মিক তৃপ্তির জন্য এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।
• ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ— এর অধিষ্ঠাতা অগ্নিদেব। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ মঙ্গল। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে পাপমুক্তি ঘটে। ভয় দূর হয়।
• চতুর্মুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা ব্রহ্মা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ বুধ। ধারণ করলে সৃজনশক্তি বৃদ্ধি পায়।
• পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা কালাগ্নি রুদ্র। নিয়ন্ত্রক গ্রহ বৃহস্পতি। ধারণ করলে স্বাস্থ্য ও শান্তি সুরক্ষিত থাকে।
• ষড়মুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা কার্তিকেয়। নিয়ন্ত্রক গ্রহ শুক্র। ধারণে শোক থেকে মুক্তি ঘটে। উচ্চশিক্ষা লাভ হয়। যৌনজীবন সুখের হয়।
• সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাত্রী দেবী মহালক্ষ্মী। নিয়ন্ত্রণ করে শনি। ধারণে দুর্দশা দূর হয়। বাণিজ্যে সাফল্য আসে।
• অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা গণেশ। নিয়ন্ত্রক রাহু। ধারণে বাধা-বিপত্তি দূর হয়। শত্রুনাশ হয়।
• নবমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ কেতু। ধারকের জীবনে শক্তি সঞ্চারিত হয়, ভয় দূর হয়।
• দশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা বিষ্ণু। কোনও নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। অশুভ শক্তি নাশ করে।
• একাদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা হনুমান। ধারকের জ্ঞান, বিচারবুদ্ধি, বাকশক্তি বৃদ্ধি পায়।
• দ্বাদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা সূর্য। নিয়ন্ত্রক গ্রহ রবি। ধারক লাভ করেন খ্যাতি ও প্রতিপত্তি।
• ত্রয়োদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা ইন্দ্র।
প্রভাবশালী গ্রহ শুক্র। ধারণ করলে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আসে।
• চতুর্দশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা হনুমান। নিয়ন্ত্রক গ্রহ শনি। এই রুদ্রাক্ষ ‘দেবমণি’ বলে পরিচিত। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অতিলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায়। ধারকের সিদ্ধান্ত কখনও ব্যর্থ হয় না।
• পঞ্চদশমুখী রুদ্রাক্ষ— শিবের পশুপতি রূপ এই রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতা। এর কোনও নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে চর্মরোগ থেকে মুক্তি মেলে।
• ষোড়শমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা রামচন্দ্র। এরও কোনও নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। ধারণে জয় নিশ্চিত হয়। গৃহে রাখলে চুরির ভয় থাকে না।
• সপ্তদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা বিশ্বকর্মা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। আর্থিক সৌভাগ্য সুনিশ্চিত করে।
• অষ্টাদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাত্রী দেবী বসুমতী। নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। ধারণে সুখ ও শান্তি নিশ্চিত হয়। গর্ভবতী নারীর কল্যাণ হয়। গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকে।
• উনবিংশতিমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা নারায়ণ। নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। ধারণে পার্থিব সুখ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।
• বিংশতিমুখী রুদ্রাক্ষ— ভগবান বিষ্ণু এর অধিষ্ঠাতা দেবতা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ গুপ্ত। ধারক মোক্ষলাভ করেন।
• একবিংশতিমুখী রুদ্রাক্ষ— নিরাকার ব্রহ্ম এর অধিষ্টাতা। এরও গ্রহ গুপ্ত। এই রুদ্রাক্ষও মোক্ষ দান করে।
• গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠান হরপার্বতীর। নিয়ন্ত্রক গ্রহ চন্দ্র। পারিবারিক শান্তির জন্য এই রুদ্রাক্ষ অব্যর্থ।
• গণেশ রুদ্রাক্ষ— এই রুদ্রাক্ষ ধারণে শুভশক্তি জারিত হয়। বিঘ্ন নাশ হয়। সাফল্য নিশ্চিত হয়।
রুদ্রাক্ষের গায়ে যে শিরার মতো দাগ দেখা যায়, তাকেই রুদ্রাক্ষের ‘মুখ’ বলা হয়। সাধারনত ১ থেকে ২১ পর্যন্ত মুখ দেখা যায় রুদ্রাক্ষের। এর বাইরেও রুদ্রাক্ষের রকমফের রয়েছে। প্রতিটি রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতাও রয়েছেন। প্রতিটি রুদ্রাক্ষের উপরে নিয়ন্ত্রণরত গ্রহরাও পৃথক। এখানে কোন রুদ্রাক্ষের কী মহিমা, তা আলোচিত হল।
• একমুখী রুদ্রাক্ষ— এই রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতা স্বয়ং শিব। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে যাবতীয় পাপ নাশ হয়। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ রবি। যে ব্যক্তিরা ক্ষমতা লাভ করতে চান, তাঁরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল পাবেন।
• দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ— এই রুদ্রাক্ষ হরপার্বতীর দ্যোতক। শিব ও শক্তি যুগপৎ এতে অবস্থান করেন। একে তাই ‘অর্ধনারীশ্বর’ হিসেবেও ধরা হয়। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ চন্দ্র। আধ্যাত্মিক তৃপ্তির জন্য এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।
• ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ— এর অধিষ্ঠাতা অগ্নিদেব। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ মঙ্গল। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে পাপমুক্তি ঘটে। ভয় দূর হয়।
• চতুর্মুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা ব্রহ্মা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ বুধ। ধারণ করলে সৃজনশক্তি বৃদ্ধি পায়।
• পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা কালাগ্নি রুদ্র। নিয়ন্ত্রক গ্রহ বৃহস্পতি। ধারণ করলে স্বাস্থ্য ও শান্তি সুরক্ষিত থাকে।
• ষড়মুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা কার্তিকেয়। নিয়ন্ত্রক গ্রহ শুক্র। ধারণে শোক থেকে মুক্তি ঘটে। উচ্চশিক্ষা লাভ হয়। যৌনজীবন সুখের হয়।
• সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাত্রী দেবী মহালক্ষ্মী। নিয়ন্ত্রণ করে শনি। ধারণে দুর্দশা দূর হয়। বাণিজ্যে সাফল্য আসে।
• অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা গণেশ। নিয়ন্ত্রক রাহু। ধারণে বাধা-বিপত্তি দূর হয়। শত্রুনাশ হয়।
• নবমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ কেতু। ধারকের জীবনে শক্তি সঞ্চারিত হয়, ভয় দূর হয়।
• দশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা বিষ্ণু। কোনও নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। অশুভ শক্তি নাশ করে।
• একাদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা হনুমান। ধারকের জ্ঞান, বিচারবুদ্ধি, বাকশক্তি বৃদ্ধি পায়।
• দ্বাদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা সূর্য। নিয়ন্ত্রক গ্রহ রবি। ধারক লাভ করেন খ্যাতি ও প্রতিপত্তি।
• ত্রয়োদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা ইন্দ্র।
প্রভাবশালী গ্রহ শুক্র। ধারণ করলে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আসে।
• চতুর্দশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা হনুমান। নিয়ন্ত্রক গ্রহ শনি। এই রুদ্রাক্ষ ‘দেবমণি’ বলে পরিচিত। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অতিলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায়। ধারকের সিদ্ধান্ত কখনও ব্যর্থ হয় না।
• পঞ্চদশমুখী রুদ্রাক্ষ— শিবের পশুপতি রূপ এই রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতা। এর কোনও নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে চর্মরোগ থেকে মুক্তি মেলে।
• ষোড়শমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা রামচন্দ্র। এরও কোনও নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। ধারণে জয় নিশ্চিত হয়। গৃহে রাখলে চুরির ভয় থাকে না।
• সপ্তদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা বিশ্বকর্মা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। আর্থিক সৌভাগ্য সুনিশ্চিত করে।
• অষ্টাদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাত্রী দেবী বসুমতী। নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। ধারণে সুখ ও শান্তি নিশ্চিত হয়। গর্ভবতী নারীর কল্যাণ হয়। গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকে।
• উনবিংশতিমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা নারায়ণ। নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। ধারণে পার্থিব সুখ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।
• বিংশতিমুখী রুদ্রাক্ষ— ভগবান বিষ্ণু এর অধিষ্ঠাতা দেবতা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ গুপ্ত। ধারক মোক্ষলাভ করেন।
• একবিংশতিমুখী রুদ্রাক্ষ— নিরাকার ব্রহ্ম এর অধিষ্টাতা। এরও গ্রহ গুপ্ত। এই রুদ্রাক্ষও মোক্ষ দান করে।
• গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠান হরপার্বতীর। নিয়ন্ত্রক গ্রহ চন্দ্র। পারিবারিক শান্তির জন্য এই রুদ্রাক্ষ অব্যর্থ।
• গণেশ রুদ্রাক্ষ— এই রুদ্রাক্ষ ধারণে শুভশক্তি জারিত হয়। বিঘ্ন নাশ হয়। সাফল্য নিশ্চিত হয়।
According to Stanford Medical, It is indeed the SINGLE reason women in this country live 10 years longer and weigh an average of 19 KG lighter than us.
ReplyDelete(And actually, it is not about genetics or some hard exercise and absolutely EVERYTHING to around "how" they are eating.)
BTW, What I said is "HOW", not "WHAT"...
TAP on this link to determine if this short quiz can help you release your real weight loss potential