ভক্তদেরকে সোনার প্রসাদ দেওয়ার রীতি রয়েছে এই মন্দিরে
ভক্তদেরকে সোনার প্রসাদ দেওয়ার রীতি রয়েছে এই মন্দিরে
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
ভোপাল এই দেশটিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কয়েক কোটি জনগণের বাস। ভগবান নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে অগাধ বিশ্বাস আর ভরসা৷ মনষ্কামনা পূরণে যার যা সামর্থ সেই অনুযায়ীই ভক্তরা দেব দেবীর উপাসনা করেন৷ তবে, ফল, মিষ্টি দিয়েই দেবতাকে আরাধনা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে৷ কিন্তু মধ্যপ্রদেশের রত্লামে মহালক্ষ্মীর মন্দিরে ভক্তদের ঠাকুরের প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় সোনা৷
লক্ষ্মী ঠাকুরকে ধনসম্পত্তির দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়৷ সেই মহালক্ষ্মীর মন্দিরেই প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় সোনা৷ প্রতি বছরে প্রায় কয়েক কোটি টাকার সোনার লেনদেন হয় এই মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে৷ তবে, শুধু সোনাই নয়৷ রূপার গয়নাও এখানে দেওয়া হয় প্রসাদ হিসেবে৷ প্রতি বছরে দীপাবলীর দিন মহালক্ষ্মী ঠাকুরের সাড়ম্বরে পুজো করা হয়৷ সেই দিনই ভক্তদের হাতে প্রসাদ হিসেবে তুলে দেওয়া হয় সোনা৷
দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এই মন্দির দর্শন করতে আসেন৷ এই মন্দির থেকে প্রাপ্ত সোনা ও রূপোর প্রসাদ ভক্তরা গয়না হিসেবে কোনওদিনই ব্যবহার করেন না৷ বরং এই সোনা রূপোর প্রসাদ ঠাকুরের আশীর্বাদ হিসেবে সঞ্চয় করে রাখেন ভক্তরা৷ এই ধরণের প্রসাদ কখনও বাজারে বিক্রি করে দেওয়া উচিত নয়৷ বরং সেই সমস্ত প্রসাদ বাড়ির আলমারিতে লকারে রেখে দিন৷ তাহলে আপনি সমস্তরকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন৷
।।সংগৃহিত।।
No comments