তন্ত্র কথা

তন্ত্র কথা

কোন তর্ক ঝগড়া বা বিতর্ক সৃষ্টি করা আমার উদ্দেশ্য নয়, কাম‍্য‌ও নয়। তন্ত্র শাস্ত্র নিয়ে প্রচুর মতভেদ ও ভ্রান্ত ধারনা আছে মানুষের মনে। আমার একটাই প্রার্থনা যে মানুষ যেন কতিপয় অসাধূ ব‍্যক্তির জন্য এই মহান শাস্ত্রটিকে অসম্মান না করে। জীবনের অনেক কিছু জটিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে এই শাস্ত্র। দরকার শুধু সঠিক প্রয়োগ।
আজ বলবো দমন ক্রিয়া নিয়ে। এই ক্রিয়া একদিক থেকে অভিচার ক্রিয়ার অন্তর্গত হলেও এটি খুব সহজেই নিজের ঘরে করা যায় এবং প্রবল শত্রুকে বেশ কিছুটা দমিয়ে দেওয়া যায়।
কেনা জানে দুর্বলের উপর সবলের অত‍্যাচার পৃথিবীর যেকোন স্থানেই কমবেশি হয়ে চলে। প্রতিনিয়ত দুর্বল মানুষটি নরক যন্ত্রনা সহ্য করতে করতে ভেঙে পড়তে থাকে নিজের ভেতরেই। যেকোনো সম্পর্কে, যে কোন কর্মে মানুষকে এই সমস্যার সামনে পড়তে হয় যদি তার নিজের জোর কম থাকে।
অসহায় সেই মানুষটিকে সাহায্য করার
কেউ থাকেনা ঈশ্বর ছাড়া। কারো ক্ষতি করতে চাওয়া উচিত নয়, কিন্তু নিজেকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে গেলে সেটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়না।
অতি সাধারণ কয়েকটা উপকরণ প্রয়োজন এই ক্রিয়ার জন্য।
বৃন্তে ফুল লেগে থাকবে এমন তিনটি লবঙ্গ, একটুকরো সাদা কাগজ, লাল ও কালো কালির পেন, কিছুটা কর্পূর ও একটি মাটির সরা এবং কিছুটা কালো সুতো।
প্রথমে শুদ্ধভাবে পুজার আসনে বসে যে যার মতো গায়ত্রী বা গুরুমন্ত্র জপ করে নিন। অতঃপর গনেশাদি পঞ্চদেবতাকে স্মরণ ও প্রনাম করে পঞ্চমুখী হনুমানজীর ছবি বা মুর্তি যাই থাকুক তার সামনে বসে হনুমান ধ‍্যান ও হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। পাঠ করবেন এমন ভাবে যেন আপনি নিজে স্পষ্ট শুনতে পান।
এবারে সাদা কাগজের উপর দিকে আপনার মায়ের নাম লিখে 'তস‍্য পুত্র' দিয়ে নিজের নাম লিখুন কালো কালিতে।
তার একটু নীচে যদি জানা থাকে তাহলে মায়ের নাম সহ আগের মতো 'তস‍্যপুত্র' দিয়ে শত্রুর নাম লিখুন। যদি না জানা থাকে তাহলে কেবলমাত্র শত্রুর নাম লিখুন লাল কালিতে।
তিনটে লবঙ্গ কাগজের মধ্যে দিয়ে ভালো করে কাগজটি মুড়ে কালো সুতো দিয়ে বেঁধে দিন। এবার মাটির সরার মধ্যে কর্পূর ঢেলে তার মধ্যে কাগজটি রেখে একুশ বার পাঠ করুন 'সাধুসন্ত কে তুম রাখ‌ওয়ারে
অসুর নিকন্দন রাম দুলারে'। ঠিক উনিশ বারের জপের শুরুতে একটি নতুন দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে নিন। কুড়ি নম্বর জপে কর্পূরে অগ্নিসংযোগ করুন। আর শেষ ও একুশ নম্বর জপ অবধি কাঠিটা ধরে রাখুন।
পুড়ে যাওয়া কাঠি সরার বাইরে ফেলে দেবেন।
যেকোনো শুক্লপক্ষের মঙ্গল বা শনিবার দিন কাজ শুরু করে পরপর তিনটি বার করবেন। অর্থাৎ মঙ্গলবার শুরু করে, পরের শনিবার ও তারপর মঙ্গলবার দিন শেষ হবে ক্রিয়া। তেমনি শনিবার শুরু করলে পরের মঙ্গলবার করে তারপরের শনিবার শেষ হবে।
অবশ‍্য‌ই খেয়াল রাখবেন যেন কাগজ ও লবঙ্গ পুরোপুরি পুড়ে যায়। কর্পূর নেবেন সেই বুঝে। মাঝখানে কোনভাবেই দ্বিতীয় বার কর্পূর দেবেন না। প্রথম বারের ক্রিয়াতে সহজে পুড়বে না তাই একটু বেশি করে কর্পূর প্রয়োগ করবেন। লবঙ্গ পোড়ার গন্ধ পাবেন না প্রথম প্রয়োগে।
দ্বিতীয় দিনের প্রয়োগে বুঝতে পারবেন যে শত্রুর বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
আর তৃতীয় এবং শেষ প্রয়োগে খুব সহজেই গোটা ক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। শত্রুর নিজস্ব প্রতিরক্ষা বলয় আপনি ভেঙে দিতে পেরেছেন। লবঙ্গ পোড়ার গন্ধ ছড়িয়ে যাবে চারপাশে। পোড়া ছাই বাড়ির বাইরে ফেলবেন কোন ভাল জায়গায়। নোংরার মধ্যে ফেলবেন না। প্রতিষ্ঠা করা পুকুর থাকলে ভালো, গঙ্গা বা যেকোনো নদী কাছাকাছি থাকলে ফেলে দিতে পারেন। যদি কোনটাই না থাকে তাহলে ফাঁকা মাঠে হাওয়াতে উড়িয়ে দিন। রাত দশটার পর ক্রিয়া করবেন। ছাই রাতে বা পরদিন সকালে ফেললেও অসুবিধা নেই। আগের দিন যৌন সম্পর্ক করবেন না, ক্রিয়ার দিন নিরামিষ আহার করবেন।
আপনার শত্রু নিজের সমস্যা নিয়ে এত বিপাকে পড়বে যে আপনি কেন আর কারো ওপরেই সহজে অত‍্যাচার করবেনা।

No comments

বাস্তুদোষ কাটান ।ও।বিদ্যা শিক্ষার উন্নতির জন্য বাড়িতে দক্ষিণা বর্তী শঙ্খ রাখুন উন্নতি আসবে।

বাস্তুদোষ কাটান ।ও।বিদ্যা শিক্ষার উন্নতির জন্য বাড়িতে দক্ষিণা বর্তী শঙ্খ রাখুন উন্নতি আসবে। https://youtu.be/fFBQjxcQzxc https://youtu....

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.